ইমরান শাহেদ

কলেজে থাকা অবস্থাতে নিজের ঈদে জমানো ছ’হাজার টাকা এবং বাসা থেকে কিছু টাকা দিয়ে কিনেছিলেন সনি কে৭৫০আই মোবাইল। সেই মোবাইলের ক্যামেরাতে দারুণ সব ছবি তোলা যেত। সাথে সেই ছবি গুলো নিয়ে করা যেত বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষাও। যেটা করতে করতেই ছবি তোলার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়তে থাকে ইমরানের। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেয়ে ঢুকলেন আইইউটিতে। সেখানে ফটোগ্রাফিক সোসাইটিতে যাওয়া আসার সুবাদে দিনকে দিন তার এই আগ্রহের পালে যোগ হয় বাড়তি হাওয়া।
দ্বিতীয় বর্ষে থাকা অবস্থাতে নিজের জমানো ত্রিশ হাজার টাকা এবং বাসা থেকে কিছু টাকা নিয়ে কিনে ফেলেন ডিএসএলআর, নাইকন ডি ৯০। সাথে ১৮-১০৫ লেন্স। এরপর থেকে ছবি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ তার আরও বেড়ে যায়। প্রায় রাতেই অন্যান্য সিনিয়র এবং বন্ধুরা যাদের ডিএসএলআর ছিল, তাদের সবাইকে নিয়ে বের হয়ে যেতেন আইইউটির ভিতরেই, ফটোওয়াক এ। সোডিয়াম লাইটের আলোতে রাতের বেলা ছবি তুলতে তুলতেই একসময় নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় ইমরানের।
তারপর বন্ধু নাফিসও ক্যামেরা কিনলে, পরিচিত হওয়া যোবায়ের শুভ’র সাথে। গড়ে তোলা হয় ড্রীম উইভার।
ইমরানের ছোটবেলা কেটেছে চট্টগ্রামে। পড়াশুনা করেছেন ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে। ২০০৯ তে উচ্চমাধ্যমিক শেষে স্নাতক জীবনে পড়াশুনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন যন্ত্রকৌশল।